Al-Fajr

ভোরবেলা

0:00 / 0:00

وَٱلْفَجْرِ

ঊষার শপথ,

وَلَيَالٍ عَشْرٍ

(জিলহাজ্জ মাসের প্রথম) দশ রাতের শপথ,

وَٱلشَّفْعِ وَٱلْوَتْرِ

জোড় ও বেজোড়ের শপথ,

وَٱلَّيْلِ إِذَا يَسْرِ

আর রাতের শপথ যখন তা গত হতে থাকে,

هَلْ فِى ذَٰلِكَ قَسَمٌ لِّذِى حِجْرٍ

অবশ্যই এতে জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য শপথ আছে।

أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ

তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক ‘আদ জাতির সঙ্গে কী ব্যবহার করেছিলেন?

إِرَمَ ذَاتِ ٱلْعِمَادِ

উচ্চ স্তম্ভ নির্মাণকারী ইরাম গোত্রের প্রতি?

ٱلَّتِى لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِى ٱلْبِلَـٰدِ

যার সমতুল্য অন্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি।

وَثَمُودَ ٱلَّذِينَ جَابُوا۟ ٱلصَّخْرَ بِٱلْوَادِ

এবং সামূদের প্রতি যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল?

وَفِرْعَوْنَ ذِى ٱلْأَوْتَادِ

এবং (সেনা ছাউনী স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত) কীলক-এর অধিপতি ফেরাউনের প্রতি?

ٱلَّذِينَ طَغَوْا۟ فِى ٱلْبِلَـٰدِ

যারা দেশে সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণ করেছিল,

فَأَكْثَرُوا۟ فِيهَا ٱلْفَسَادَ

আর সেখানে বহু বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল।

فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ

অতঃপর তোমার প্রতিপালক তাদের উপর শাস্তির চাবুক হানলেন

إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلْمِرْصَادِ

তোমার প্রতিপালক অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন (যেমন ঘাঁটিতে শত্রুর প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়)।

فَأَمَّا ٱلْإِنسَـٰنُ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ رَبُّهُۥ فَأَكْرَمَهُۥ وَنَعَّمَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَكْرَمَنِ

মানুষ এমন যে, তার প্রতিপালক যখন তাকে পরীক্ষা করেন সম্মান ও অনুগ্রহ দান ক’রে, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন।’

وَأَمَّآ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَهَـٰنَنِ

আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন তার রিযক সঙ্কুচিত ক’রে, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন।’

كَلَّا ۖ بَل لَّا تُكْرِمُونَ ٱلْيَتِيمَ

না (রিযক) কক্ষনো (মান-সম্মানের মানদন্ড) নয়, বরং তোমরা ইয়াতীমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ কর না,

وَلَا تَحَـٰٓضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ

আর তোমরা ইয়াতীম মিসকিনকে খাদ্য দেয়ার জন্য পরস্পরকে উৎসাহিত কর না,

وَتَأْكُلُونَ ٱلتُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا

আর তোমরা উত্তরাধিকারীদের সব সম্পদ খেয়ে ফেল।

وَتُحِبُّونَ ٱلْمَالَ حُبًّا جَمًّا

আর তোমরা ধনসম্পদকে অতিরিক্ত ভালবাস।

كَلَّآ إِذَا دُكَّتِ ٱلْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا

এটা মোটেই ঠিক নয়, যখন পৃথিবীকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে বালি বানিয়ে দেয়া হবে,

وَجَآءَ رَبُّكَ وَٱلْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا

আর যখন তোমার প্রতিপালক আসবেন আর ফেরেশতারা আসবে সারিবদ্ধ হয়ে,

وَجِا۟ىٓءَ يَوْمَئِذٍۭ بِجَهَنَّمَ ۚ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ ٱلْإِنسَـٰنُ وَأَنَّىٰ لَهُ ٱلذِّكْرَىٰ

আর জাহান্নামকে সেদিন (সামনাসামনি) আনা হবে। সেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে, কিন্তু তখন এ উপলব্ধি তার কী কাজে আসবে?

يَقُولُ يَـٰلَيْتَنِى قَدَّمْتُ لِحَيَاتِى

সে বলবে, ‘হায়! আমার (এখনকার) জীবনের জন্য যদি আমি (সৎকর্ম) আগে পাঠাতাম!

فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٌ

অতঃপর সেদিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিতে পারবে না

وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٌ

এবং তাঁর বাঁধনের মত কেউ বাঁধতে পারবে না।

يَـٰٓأَيَّتُهَا ٱلنَّفْسُ ٱلْمُطْمَئِنَّةُ

(অপর দিকে নেককার লোককে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা!

ٱرْجِعِىٓ إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً

তোমার রব-এর দিকে ফিরে এসো সন্তুষ্ট হয়ে এবং (তোমার রব-এর) সন্তুষ্টির পাত্র হয়ে।

فَٱدْخُلِى فِى عِبَـٰدِى

অতঃপর আমার (নেক) বান্দাহদের মধ্যে শামিল হও

وَٱدْخُلِى جَنَّتِى

আর আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।