Al-Ma'arij

উন্নয়নের সোপান

0:00 / 0:00

سَأَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَاقِعٍ

এক ব্যক্তি চাইল সে ‘আযাব যা অবশ্যই সংঘটিত হবে।

لِّلْكَـٰفِرِينَ لَيْسَ لَهُۥ دَافِعٌ

কাফিরদের জন্য তা প্রতিরোধ করার কেউ নেই

مِّنَ ٱللَّهِ ذِى ٱلْمَعَارِجِ

(যে শাস্তি আসবে) আল্লাহর নিকট হতে যিনি আসমানে উঠার সিঁড়িগুলোর মালিক,

تَعْرُجُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ إِلَيْهِ فِى يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُۥ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ

ফেরেশতা এবং রূহ (অর্থাৎ জিবরীল) আল্লাহর দিকে আরোহণ করে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।

فَٱصْبِرْ صَبْرًا جَمِيلًا

সুতরাং (হে নবী!) ধৈর্য ধর- সুন্দর সৌজন্যমূলক ধৈর্য।

إِنَّهُمْ يَرَوْنَهُۥ بَعِيدًا

তারা ঐ দিনটিকে সুদূর মনে করছে,

وَنَرَىٰهُ قَرِيبًا

কিন্তু আমি তা নিকটে দেখতে পাচ্ছি।

يَوْمَ تَكُونُ ٱلسَّمَآءُ كَٱلْمُهْلِ

সেদিন আকাশ হবে গলিত রূপার মত,

وَتَكُونُ ٱلْجِبَالُ كَٱلْعِهْنِ

আর পাহাড়গুলো হবে রঙ্গীণ পশমের মত,

وَلَا يَسْـَٔلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا

বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না,

يُبَصَّرُونَهُمْ ۚ يَوَدُّ ٱلْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِى مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍۭ بِبَنِيهِ

যদিও তাদেরকে রাখা হবে পরস্পরের দৃষ্টির সামনে, অপরাধী সেদিনের ‘আযাব থেকে বাঁচার জন্য বিনিময়ে দিতে চাইবে তার সন্তানাদিকে,

وَصَـٰحِبَتِهِۦ وَأَخِيهِ

তার স্ত্রী ও ভাইকে,

وَفَصِيلَتِهِ ٱلَّتِى تُـْٔوِيهِ

আর তার আত্মীয় গোষ্ঠীকে যারা তাকে আশ্রয় দিত,

وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ

আর দুনিয়ার সব্বাইকে, যাতে তা তাকে রক্ষা করতে পারে।

كَلَّآ ۖ إِنَّهَا لَظَىٰ

না, কক্ষনো নয়, ওটা জ্বলন্ত অগ্নিশিখা,

نَزَّاعَةً لِّلشَّوَىٰ

যা চামড়া তুলে দিবে,

تَدْعُوا۟ مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّىٰ

জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে পেছনে ফিরে গিয়েছিল এবং সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।

وَجَمَعَ فَأَوْعَىٰٓ

সে মালধন জমা করত, অতঃপর তা আগলে রাখত,

۞ إِنَّ ٱلْإِنسَـٰنَ خُلِقَ هَلُوعًا

মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থির-মনা করে,

إِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ جَزُوعًا

বিপদ তাকে স্পর্শ করলে সে হয় উৎকণ্ঠিত,

وَإِذَا مَسَّهُ ٱلْخَيْرُ مَنُوعًا

কল্যাণ তাকে স্পর্শ করলে সে হয়ে পড়ে অতি কৃপণ,

إِلَّا ٱلْمُصَلِّينَ

তবে নামায আদায়কারীরা এ রকম নয়,

ٱلَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَآئِمُونَ

যারা তাদের নামাযে স্থির সংকল্প

وَٱلَّذِينَ فِىٓ أَمْوَٰلِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ

যাদের ধন-সম্পদে একটা সুবিদিত অধিকার আছে,

لِّلسَّآئِلِ وَٱلْمَحْرُومِ

প্রার্থী এবং বঞ্চিতদের,

وَٱلَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ

যারা বিচার দিবসকে সত্য মানে।

وَٱلَّذِينَ هُم مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِم مُّشْفِقُونَ

যারা তাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীত কম্পিত,

إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَيْرُ مَأْمُونٍ

তাদের প্রতিপালকের শাস্তি এমন যে তাত্থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা যায় না,

وَٱلَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَـٰفِظُونَ

যারা নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে

إِلَّا عَلَىٰٓ أَزْوَٰجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ

তাদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া, কেননা তাতে তারা তিরস্কৃত হবে না,

فَمَنِ ٱبْتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْعَادُونَ

তবে এর বাইরে যারা অন্য কাউকে কামনা করবে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।

وَٱلَّذِينَ هُمْ لِأَمَـٰنَـٰتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَٰعُونَ

যারা তাদের আমানাত ও ও‘য়াদা রক্ষা করে,

وَٱلَّذِينَ هُم بِشَهَـٰدَٰتِهِمْ قَآئِمُونَ

যারা তাদের সাক্ষ্যদানে (সত্যতার উপর) সুপ্রতিষ্ঠিত,

وَٱلَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ

যারা তাদের নামাযে যত্নবান,

أُو۟لَـٰٓئِكَ فِى جَنَّـٰتٍ مُّكْرَمُونَ

তারাই হবে জান্নাতে সম্মানিত।

فَمَالِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ قِبَلَكَ مُهْطِعِينَ

কাফিরদের কী হল যে, তারা তোমার দিকে ছুটে আসছে (তোমার কুরআন পাঠ শুনে তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য),

عَنِ ٱلْيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ عِزِينَ

ডান দিক আর বাম দিক থেকে দলে দলে,

أَيَطْمَعُ كُلُّ ٱمْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٍ

তাদের প্রত্যেকেই কি এই লোভ করে যে, তাকে নি‘মাত-ভরা জান্নাতে দাখিল করা হবে?

كَلَّآ ۖ إِنَّا خَلَقْنَـٰهُم مِّمَّا يَعْلَمُونَ

কক্ষনো না, আমি তাদেরকে কী থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে (এমন নগণ্য বস্তু থেকে সৃষ্ট মানুষ কেবল মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার কারণেই জান্নাতে চলে যাবে এ রকম লোভ করা বড়ই অবিবেচনাপ্রসূত ব্যাপার)।

فَلَآ أُقْسِمُ بِرَبِّ ٱلْمَشَـٰرِقِ وَٱلْمَغَـٰرِبِ إِنَّا لَقَـٰدِرُونَ

আমি শপথ করছি উদয়স্থানসমূহের ও অস্তাচলসমূহের রব্বের-আমি অবশ্যই সক্ষম,

عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ خَيْرًا مِّنْهُمْ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ

তাদের পরিবর্তে তাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানুষ বানাতে, আমাকে পরাস্ত করবে এমন কেউ নেই।

فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا۟ وَيَلْعَبُوا۟ حَتَّىٰ يُلَـٰقُوا۟ يَوْمَهُمُ ٱلَّذِى يُوعَدُونَ

কাজেই তাদেরকে অনর্থক কথাবার্তা ও খেল তামাশায় মত্ত থাকতে দাও যতক্ষণ না তারা তাদের সেদিনের সাক্ষাৎ লাভ করে যে দিনের ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল।

يَوْمَ يَخْرُجُونَ مِنَ ٱلْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلَىٰ نُصُبٍ يُوفِضُونَ

যেদিন তারা কবর থেকে বের হবে দ্রুততার সাথে- যেন তারা কোন লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে চলেছে।

خَـٰشِعَةً أَبْصَـٰرُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ۚ ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمُ ٱلَّذِى كَانُوا۟ يُوعَدُونَ

তাদের দৃষ্টি হবে অবনমিত, লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। এটাই হল সেই দিন যার ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হচ্ছিল।