প্রেরিত পুরুষ
وَٱلْمُرْسَلَـٰتِ عُرْفًا
পর পর পাঠানো বাতাসের শপথ যা উপকার সাধন করে,
فَٱلْعَـٰصِفَـٰتِ عَصْفًا
অতঃপর তা প্রচন্ড ঝড়ের বেগে বইতে থাকে,
وَٱلنَّـٰشِرَٰتِ نَشْرًا
শপথ সেই বায়ুর যা (মেঘমালাকে) ছড়িয়ে দেয় দূর দূরান্তে,
فَٱلْفَـٰرِقَـٰتِ فَرْقًا
আর বিচ্ছিন্নকারী বাতাসের শপথ যা (মেঘমালাকে) বিচ্ছিন্ন করে,
فَٱلْمُلْقِيَـٰتِ ذِكْرًا
অতঃপর (মানুষের অন্তরে) পৌঁছে দেয় (আল্লাহর) স্মরণ,
عُذْرًا أَوْ نُذْرًا
(বিশ্বাসী লোকদেরকে) ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য আর (কাফিরদেরকে) সতর্ক করার জন্য।
إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَٰقِعٌ
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتْ
যখন নক্ষত্ররাজির আলো বিলুপ্ত হবে,
وَإِذَا ٱلسَّمَآءُ فُرِجَتْ
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
وَإِذَا ٱلْجِبَالُ نُسِفَتْ
যখন পবর্তমালা ধুনিত হবে।
وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتْ
যখন (হাশরের মাঠে) রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় এসে পড়বে।
لِأَىِّ يَوْمٍ أُجِّلَتْ
(এ সব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে?
لِيَوْمِ ٱلْفَصْلِ
চূড়ান্ত ফয়সালার দিনের জন্য।
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِ
সেই চূড়ান্ত ফয়সালার দিনটি কী তা তোমাকে কিসে জানাবে?
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
أَلَمْ نُهْلِكِ ٱلْأَوَّلِينَ
আমি কি আগেকার লোকেদেরকে ধ্বংস করে দেইনি?
ثُمَّ نُتْبِعُهُمُ ٱلْـَٔاخِرِينَ
অতঃপর পরবর্তী লোকেদেরকেও আমি তাদের অনুগামী করব।
كَذَٰلِكَ نَفْعَلُ بِٱلْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের প্রতি আমি এরকমই করে থাকি।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
أَلَمْ نَخْلُقكُّم مِّن مَّآءٍ مَّهِينٍ
আমি কি নগণ্য পানি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিনি?
فَجَعَلْنَـٰهُ فِى قَرَارٍ مَّكِينٍ
অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সুসংরক্ষিত স্থানে।
إِلَىٰ قَدَرٍ مَّعْلُومٍ
একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত,
فَقَدَرْنَا فَنِعْمَ ٱلْقَـٰدِرُونَ
অতঃপর আমি তাকে গঠন করেছি সুসামঞ্জস্যপূর্ণরূপে, আমি কতই না উত্তম ক্ষমতার অধিকারী!
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
أَلَمْ نَجْعَلِ ٱلْأَرْضَ كِفَاتًا
আমি কি পৃথিবীকে (সব কিছুকে টেনে গুটিয়ে) ধারণকারীরূপে সৃষ্টি করিনি?
أَحْيَآءً وَأَمْوَٰتًا
জীবিত ও মৃতদেরকে (ভাল আর মন্দকে নেককার আর পাপাচারীকে)।
وَجَعَلْنَا فِيهَا رَوَٰسِىَ شَـٰمِخَـٰتٍ وَأَسْقَيْنَـٰكُم مَّآءً فُرَاتًا
আর আমি তাতে স্থাপন করেছি অনড় সুউচ্চ পবর্তমালা আর তোমাদেরকে পান করিয়েছি সুমিষ্ট সুপেয় পানি।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
ٱنطَلِقُوٓا۟ إِلَىٰ مَا كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ
(তাদেরকে বলা হবে) ‘চলো তার দিকে তোমরা যাকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করতে।
ٱنطَلِقُوٓا۟ إِلَىٰ ظِلٍّ ذِى ثَلَـٰثِ شُعَبٍ
‘চলো সেই (ধোঁয়ার) ছায়ার দিকে যার আছে তিনটি শাখা (অর্থাৎ ডানে, বামে, উপরে সব দিক থেকেই ঘিরে ধরবে),
لَّا ظَلِيلٍ وَلَا يُغْنِى مِنَ ٱللَّهَبِ
যা শীতল নয়, আর তা লেলিহান অগ্নিশিখা থেকে বাঁচাতেও পারবে না।
إِنَّهَا تَرْمِى بِشَرَرٍ كَٱلْقَصْرِ
সে আগুন প্রাসাদের ন্যায় (বিশাল) স্ফুলিঙ্গ উৎক্ষেপ করবে,
كَأَنَّهُۥ جِمَـٰلَتٌ صُفْرٌ
যেন হলুদ রঙ্গের উটের সারি,
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
هَـٰذَا يَوْمُ لَا يَنطِقُونَ
এদিন এমন যে, কেউ কথা বলতে পারবে না,
وَلَا يُؤْذَنُ لَهُمْ فَيَعْتَذِرُونَ
তাদেরকে কোন ওজর পেশ করারও সুযোগ দেয়া হবে না।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
هَـٰذَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِ ۖ جَمَعْنَـٰكُمْ وَٱلْأَوَّلِينَ
এটা চূড়ান্ত ফয়সালার দিন, আমি একত্রিত করেছি তোমাদেরকে আর আগের লোকেদেরকে।
فَإِن كَانَ لَكُمْ كَيْدٌ فَكِيدُونِ
এক্ষণে তোমাদের কাছে যদি কোন কৌশল থাকে তাহলে তা আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ কর।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
إِنَّ ٱلْمُتَّقِينَ فِى ظِلَـٰلٍ وَعُيُونٍ
মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া আর ঝর্ণাধারার মাঝে,
وَفَوَٰكِهَ مِمَّا يَشْتَهُونَ
আর তাদের জন্য থাকবে ফলমূল- যেটি তাদের মন চাইবে।
كُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ هَنِيٓـًٔۢا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে খাও আর পান কর, তোমরা যে ‘আমাল করেছিলে তার পুরস্কারস্বরূপ।
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
كُلُوا۟ وَتَمَتَّعُوا۟ قَلِيلًا إِنَّكُم مُّجْرِمُونَ
(ওহে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা!) তোমরা অল্প কিছুকাল খেয়ে নাও আর ভোগ করে নাও, তোমরা তো অপরাধী।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱرْكَعُوا۟ لَا يَرْكَعُونَ
তাদেরকে যখন বলা হয় (আল্লাহর সম্মুখে) নত হও, (তাঁর আদেশসমূহ পালনের মাধ্যমে) তখন তারা নত হয় না।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।
فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَهُۥ يُؤْمِنُونَ
তাহলে কুরআনের পর (তার চেয়ে উত্তম) আর কোন্ কিতাব আছে যার উপর তারা ঈমান আনবে?