Al-Mutaffifin

প্রতারণা করা

0:00 / 0:00

وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ

দুর্ভোগ ঠকবাজদের জন্য (যারা মাপে বা ওজনে কম দেয়),

ٱلَّذِينَ إِذَا ٱكْتَالُوا۟ عَلَى ٱلنَّاسِ يَسْتَوْفُونَ

যারা লোকের কাছ থেকে মেপে নেয়ার সময় পুরামাত্রায় নেয়,

وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ

আর যখন তাদেরকে মেপে দেয় বা ওজন ক’রে দেয় তখন কম দেয়।

أَلَا يَظُنُّ أُو۟لَـٰٓئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ

তারা কি চিন্তা করে না যে (তাদের মৃত্যুর পর) তাদেরকে আবার উঠানো হবে,

لِيَوْمٍ عَظِيمٍ

এক মহা দিবসে।

يَوْمَ يَقُومُ ٱلنَّاسُ لِرَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ

যেদিন মানুষ বিশ্বজগতের প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াবে।

كَلَّآ إِنَّ كِتَـٰبَ ٱلْفُجَّارِ لَفِى سِجِّينٍ

(তারা যে সব ধারণা করছে তা) কক্ষনো না, নিশ্চয়ই পাপীদের ‘আমালনামা সিজ্জীনে (সংরক্ষিত) আছে।

وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا سِجِّينٌ

তুমি কি জান সিজ্জীন কী

كِتَـٰبٌ مَّرْقُومٌ

সীলমোহরকৃত কিতাব।

وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ

সেদিন দুর্ভোগ হবে অস্বীকারকারীদের,

ٱلَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ

যারা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করে।

وَمَا يُكَذِّبُ بِهِۦٓ إِلَّا كُلُّ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ

কেবল সীমালঙ্ঘনকারী, পাপাচারী ছাড়া কেউই তা অস্বীকার করে না।

إِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِ ءَايَـٰتُنَا قَالَ أَسَـٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ

তার সামনে যখন আমার আয়াত পড়ে শোনানো হয়, তখন সে বলে, ‘এ তো প্রাচীন কালের লোকেদের কাহিনী’’।

كَلَّا ۖ بَلْ ۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ

কক্ষনো না, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং ধরিয়ে দিয়েছে।

كَلَّآ إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ

কক্ষনো না, তারা সেদিন তাদের প্রতিপালক থেকে পর্দার আড়ালে থাকবে।

ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُوا۟ ٱلْجَحِيمِ

অতঃপর তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

ثُمَّ يُقَالُ هَـٰذَا ٱلَّذِى كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ

অতঃপর বলা হবে ‘এটাই তা যা তোমরা অস্বীকার করতে।’

كَلَّآ إِنَّ كِتَـٰبَ ٱلْأَبْرَارِ لَفِى عِلِّيِّينَ

(ভাল-মন্দের বিচার হবে না, শাস্তি-পুরস্কার কিছুই হবে না তা) কক্ষনো না, নিশ্চয়ই সৎলোকদের ‘আমালমানা ‘ইল্লিয়ীনে (সংরক্ষিত) আছে।

وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا عِلِّيُّونَ

তুমি কি জান ইল্লিয়ীন কী?

كِتَـٰبٌ مَّرْقُومٌ

সীলমোহরকৃত কিতাব।

يَشْهَدُهُ ٱلْمُقَرَّبُونَ

আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত (ফেরেশতারা) তার তত্ত্বাবধান করে।

إِنَّ ٱلْأَبْرَارَ لَفِى نَعِيمٍ

পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত নি‘মাতের মাঝে।

عَلَى ٱلْأَرَآئِكِ يَنظُرُونَ

উচ্চ আসনে বসে তারা (চারদিকের সবকিছু) দেখতে থাকবে।

تَعْرِفُ فِى وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ ٱلنَّعِيمِ

তুমি তাদের মুখে আরাম আয়েশের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবে।

يُسْقَوْنَ مِن رَّحِيقٍ مَّخْتُومٍ

তাদেরকে পান করানো হবে সীল-আঁটা উৎকৃষ্ট পানীয়।

خِتَـٰمُهُۥ مِسْكٌ ۚ وَفِى ذَٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ ٱلْمُتَنَـٰفِسُونَ

তার সীল হবে মিশকের, প্রতিযোগীরা এ বিষয়েই প্রতিযোগিতা করুক।

وَمِزَاجُهُۥ مِن تَسْنِيمٍ

তাতে মেশানো থাকবে ‘তাসনীম,

عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا ٱلْمُقَرَّبُونَ

ওটা একটা ঝর্ণা, যাত্থেকে (আল্লাহর) নৈকট্যপ্রাপ্তরা পান করবে।

إِنَّ ٱلَّذِينَ أَجْرَمُوا۟ كَانُوا۟ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يَضْحَكُونَ

পাপাচারী লোকেরা (দুনিয়ায়) মু’মিনদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত।

وَإِذَا مَرُّوا۟ بِهِمْ يَتَغَامَزُونَ

আর তারা যখন তাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করত তখন পরস্পরে চোখ টিপে ইশারা করত।

وَإِذَا ٱنقَلَبُوٓا۟ إِلَىٰٓ أَهْلِهِمُ ٱنقَلَبُوا۟ فَكِهِينَ

আর তারা যখন তাদের আপন জনদের কাছে ফিরে আসত, তখন (মু’মিনদেরকে ঠাট্টা ক’রে আসার কারণে) ফিরত উৎফুল্ল হয়ে।

وَإِذَا رَأَوْهُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ لَضَآلُّونَ

আর তারা যখন মু’মিনদেরকে দেখত তখন বলত, ‘এরা তো অবশ্যই গুমরাহ্।’

وَمَآ أُرْسِلُوا۟ عَلَيْهِمْ حَـٰفِظِينَ

তাদেরকে তো মু’মিনদের হিফাযাতকারী হিসেবে পাঠানো হয়নি (মু’মিনদের কৃতকর্মের হিসাব মু’মিনরাই দিবে)।

فَٱلْيَوْمَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مِنَ ٱلْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ

আজ (জান্নাত হতে) মু’মিনরা কাফিরদের (পরিণতির) উপর হাসছে,

عَلَى ٱلْأَرَآئِكِ يَنظُرُونَ

উচ্চ আসনে বসে তাদের অবস্থা দেখছে।

هَلْ ثُوِّبَ ٱلْكُفَّارُ مَا كَانُوا۟ يَفْعَلُونَ

কাফিররা যা করত তার ‘সওয়াব’ পেল তো?