মহাসংবাদ
عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ
লোকেরা কোন বিষয়ে একে অন্যের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلْعَظِيمِ
(ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার) সেই মহা সংবাদের বিষয়ে,
ٱلَّذِى هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
যে বিষয়ে তাদের মাঝে মতপার্থক্য আছে।
كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
কক্ষনো না, (তারা যা ধারণা করে তা একেবারে, অলীক ও অবাস্তব), তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
আবার বলছি, কক্ষনো না (তাদের ধারণা একেবারে অলীক ও অবাস্তব), তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
أَلَمْ نَجْعَلِ ٱلْأَرْضَ مِهَـٰدًا
(আমি যে সব কিছুকে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করতে সক্ষম তা তোমরা অস্বীকার করছ কীভাবে) আমি কি যমীনকে (তোমাদের জন্য) শয্যা বানাইনি?
وَٱلْجِبَالَ أَوْتَادًا
আর পর্বতগুলোকে কীলক (বানাইনি)?
وَخَلَقْنَـٰكُمْ أَزْوَٰجًا
আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়।
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
আর তোমাদের নিদ্রাকে করেছি বিশ্রামদায়ী।
وَجَعَلْنَا ٱلَّيْلَ لِبَاسًا
রাতকে করেছি আবরণ,
وَجَعَلْنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشًا
আর দিনকে করেছি জীবিকা সংগ্রহের মাধ্যম।
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
আর তোমাদের উর্ধ্বদেশে বানিয়েছি সাতটি সুদৃঢ় আকাশ।
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
এবং সৃষ্টি করেছি উজ্জ্বল প্রদীপ।
وَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلْمُعْصِرَٰتِ مَآءً ثَجَّاجًا
আর আমি বর্ষণ করি বৃষ্টিবাহী মেঘমালা থেকে প্রচুর পানি,
لِّنُخْرِجَ بِهِۦ حَبًّا وَنَبَاتًا
যাতে আমি তা দিয়ে উৎপন্ন করি শস্য ও উদ্ভিদ,
وَجَنَّـٰتٍ أَلْفَافًا
আর ঘন উদ্যান।
إِنَّ يَوْمَ ٱلْفَصْلِ كَانَ مِيقَـٰتًا
নিশ্চয়ই নির্ধারিত আছে মীমাংসার দিন,
يَوْمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
সেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, আর তোমরা দলে দলে আসবে,
وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتْ أَبْوَٰبًا
আকাশ খুলে দেয়া হবে আর তাতে হবে অনেক দরজা।
وَسُيِّرَتِ ٱلْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
আর পর্বতগুলোকে করা হবে চলমান, ফলে তা নিছক মরীচিকায় পরিণত হবে।
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
জাহান্নাম তো ওঁৎ পেতে আছে,
لِّلطَّـٰغِينَ مَـَٔابًا
(আর তা হল) সীমালঙ্ঘনকারীদের আশ্রয়স্থল।
لَّـٰبِثِينَ فِيهَآ أَحْقَابًا
সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে থাকবে,
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
সেখানে তারা কোন শীতল ও পানীয় আস্বাদন করবে না
إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
ফুটন্ত পানি ও পুঁজ ছাড়া;
جَزَآءً وِفَاقًا
উপযুক্ত প্রতিফল।
إِنَّهُمْ كَانُوا۟ لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
তারা (তাদের কৃতকর্মের) কোন হিসাব-নিকাশ আশা করত না,
وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا كِذَّابًا
তারা আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করেছিল- পুরোপুরি অস্বীকার।
وَكُلَّ شَىْءٍ أَحْصَيْنَـٰهُ كِتَـٰبًا
সবকিছুই আমি সংরক্ষণ করে রেখেছি লিখিতভাবে।
فَذُوقُوا۟ فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
অতএব এখন স্বাদ গ্রহণ কর, আমি তোমাদের জন্য কেবল শাস্তিই বৃদ্ধি করব (অন্য আর কিছু নয়)।
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
(অন্য দিকে) মুত্তাকীদের জন্য আছে সাফল্য।
حَدَآئِقَ وَأَعْنَـٰبًا
বাগান, আঙ্গুর,
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
আর সমবয়স্কা নব্য যুবতী
وَكَأْسًا دِهَاقًا
এবং পরিপূর্ণ পানপাত্র।
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّٰبًا
সেখানে তারা শুনবে না অসার অর্থহীন আর মিথ্যে কথা,
جَزَآءً مِّن رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابًا
এটা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রতিফল, যথোচিত দান।
رَّبِّ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ٱلرَّحْمَـٰنِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
যিনি আকাশ, পৃথিবী আর এগুলোর মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর প্রতিপালক, তিনি অতি দয়াময়, তাঁর সম্মুখে কথা বলার সাহস কারো হবে না।
يَوْمَ يَقُومُ ٱلرُّوحُ وَٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ صَفًّا ۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحْمَـٰنُ وَقَالَ صَوَابًا
সেদিন রূহ (জিবরাঈল) আর ফেরেশতারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে, কেউ কোন কথা বলতে পারবে না, সে ব্যতীত যাকে পরম করুণাময় অনুমতি দিবেন, আর সে যথার্থ কথাই বলবে।
ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمُ ٱلْحَقُّ ۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ مَـَٔابًا
এ দিনটি সত্য, সুনিশ্চিত, অতএব যার ইচ্ছে সে তার প্রতিপালকের দিকে আশ্রয় গ্রহণ করুক।
إِنَّآ أَنذَرْنَـٰكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ ٱلْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ ٱلْكَافِرُ يَـٰلَيْتَنِى كُنتُ تُرَٰبًۢا
আমি তোমাদেরকে নিকটবর্তী শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করছি, যেদিন মানুষ দেখতে পাবে তার হাতগুলো আগেই কী (‘আমাল) পাঠিয়েছে আর কাফির বলবে- ‘হায়! আমি যদি মাটি হতাম (তাহলে আমাকে আজকের এ ‘আযাবের সম্মুখীন হতে হত না)।