সোনাদানা
حمٓ
হা-মীম।
وَٱلْكِتَـٰبِ ٱلْمُبِينِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
إِنَّا جَعَلْنَـٰهُ قُرْءَٰنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
আমি ওটাকে করেছি আরবী ভাষার কুরআন যাতে তোমরা বুঝতে পারে।
وَإِنَّهُۥ فِىٓ أُمِّ ٱلْكِتَـٰبِ لَدَيْنَا لَعَلِىٌّ حَكِيمٌ
আমার কাছে তা উম্মুল কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) সংরক্ষিত আছে, আর তা হল অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞানে পূর্ণ।
أَفَنَضْرِبُ عَنكُمُ ٱلذِّكْرَ صَفْحًا أَن كُنتُمْ قَوْمًا مُّسْرِفِينَ
তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী জাতি- এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কুরআন প্রত্যাহার করে নেব?
وَكَمْ أَرْسَلْنَا مِن نَّبِىٍّ فِى ٱلْأَوَّلِينَ
পূর্বেকার জাতিগুলোর মধ্যে আমি বহু রসূল পাঠিয়েছিলাম।
وَمَا يَأْتِيهِم مِّن نَّبِىٍّ إِلَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ
তাদের কাছে এমন কোন নবী আসেনি যাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি।
فَأَهْلَكْنَآ أَشَدَّ مِنْهُم بَطْشًا وَمَضَىٰ مَثَلُ ٱلْأَوَّلِينَ
আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি- যারা ছিল এদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। পূর্বের জাতিগুলোর উদাহরণ অতীত হয়ে গেছে।
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ ٱلْعَزِيزُ ٱلْعَلِيمُ
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশ ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে- ওগুলো প্রবল পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন,
ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ مَهْدًا وَجَعَلَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিস্তৃত, আর তাতে তোমাদের জন্য বানিয়েছেন চলার পথ- যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার।
وَٱلَّذِى نَزَّلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ فَأَنشَرْنَا بِهِۦ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ
যিনি আকাশ থেকে পরিমিত পানি বর্ষণ করেন যা দিয়ে তিনি মৃত ভূ-ভাগকে সঞ্জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।
وَٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْأَزْوَٰجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُم مِّنَ ٱلْفُلْكِ وَٱلْأَنْعَـٰمِ مَا تَرْكَبُونَ
তিনি সব কিছুকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদের জন্য নৌযান ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা আরোহণ কর,
لِتَسْتَوُۥا۟ عَلَىٰ ظُهُورِهِۦ ثُمَّ تَذْكُرُوا۟ نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا ٱسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُولُوا۟ سُبْحَـٰنَ ٱلَّذِى سَخَّرَ لَنَا هَـٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقْرِنِينَ
যাতে তোমরা যখন তাদের পিঠে স্থির হয়ে বস, তখন যেন তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর আর বল- মহান ও পবিত্র তিনি যিনি, এগুলোকে আমাদের (ব্যবহারের জন্য) বশীভূত করে দিয়েছেন, আমরা এগুলোকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না।
وَإِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ
আর আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের দিকে ফিরে যেতে হবে।
وَجَعَلُوا۟ لَهُۥ مِنْ عِبَادِهِۦ جُزْءًا ۚ إِنَّ ٱلْإِنسَـٰنَ لَكَفُورٌ مُّبِينٌ
আর তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য হতে কতককে আল্লাহর অংশ মনে করে নিয়েছে (যেমন ‘ঈসা (আঃ)-কে তারা আল্লাহর পুত্র মনে করে)। মানুষ অবশ্যই স্পষ্টতঃ অকৃতজ্ঞ।
أَمِ ٱتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَىٰكُم بِٱلْبَنِينَ
কি! তিনি তাঁরই সৃষ্টি হতে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন আর তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَـٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُۥ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেয়া হয় সেই সন্তানের যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখ মন্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।
أَوَمَن يُنَشَّؤُا۟ فِى ٱلْحِلْيَةِ وَهُوَ فِى ٱلْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ
তারা কি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে এমন সন্তান যে অলংকারে লালিত পালিত হয়, আর বিতর্ককালে বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে অসমর্থ?
وَجَعَلُوا۟ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةَ ٱلَّذِينَ هُمْ عِبَـٰدُ ٱلرَّحْمَـٰنِ إِنَـٰثًا ۚ أَشَهِدُوا۟ خَلْقَهُمْ ۚ سَتُكْتَبُ شَهَـٰدَتُهُمْ وَيُسْـَٔلُونَ
তারা দয়াময়ের বান্দাহ্ ফেরেশতাদেরকে নারী গণ্য করে। তারা কি ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি সরাসরি দেখেছে? তাদের সাক্ষ্য লিখে রাখা হবে এবং তারা জিজ্ঞাসিত হবে।
وَقَالُوا۟ لَوْ شَآءَ ٱلرَّحْمَـٰنُ مَا عَبَدْنَـٰهُم ۗ مَّا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ
তারা আরো বলে- দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছে করলে আমরা ওদের পূঁজা করতাম না। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু আন্দাজ অনুমানে কথা বলে।
أَمْ ءَاتَيْنَـٰهُمْ كِتَـٰبًا مِّن قَبْلِهِۦ فَهُم بِهِۦ مُسْتَمْسِكُونَ
আমি কি তাদেরকে এর (অর্থাৎ কুরআনের) আগে কোন কিতাব দিয়েছি অতঃপর তারা তা অাঁকড়ে ধরে আছে?
بَلْ قَالُوٓا۟ إِنَّا وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَـٰرِهِم مُّهْتَدُونَ
বরং তারা বলে- আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে এক ধর্মমত পালনরত পেয়েছি আর আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত হয়েছি।
وَكَذَٰلِكَ مَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ فِى قَرْيَةٍ مِّن نَّذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَآ إِنَّا وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا عَلَىٰٓ أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَىٰٓ ءَاثَـٰرِهِم مُّقْتَدُونَ
এভাবে তোমার পূর্বে যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী (নবী-রসূল) পাঠিয়েছি, তখনই তাদের সম্পদশালী লোকেরা বলেছে- আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এক ধর্মমত পালনরত পেয়েছি আর আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছি।
۞ قَـٰلَ أَوَلَوْ جِئْتُكُم بِأَهْدَىٰ مِمَّا وَجَدتُّمْ عَلَيْهِ ءَابَآءَكُمْ ۖ قَالُوٓا۟ إِنَّا بِمَآ أُرْسِلْتُم بِهِۦ كَـٰفِرُونَ
তখন সেই সতর্ককারী বলত- তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষকে যে ধর্মমতের উপর পেয়েছ, আমি যদি তোমাদের কাছে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট ধর্মমত নিয়ে আসি (তবুও কি তোমরা তাদেরই অনুসরণ করবে)? তারা বলতঃ তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি।
فَٱنتَقَمْنَا مِنْهُمْ ۖ فَٱنظُرْ كَيْفَ كَانَ عَـٰقِبَةُ ٱلْمُكَذِّبِينَ
অতঃপর আমি তাদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম, এখন দেখ, মিথ্যুকদের পরিণতি কী হয়েছিল।
وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِۦٓ إِنَّنِى بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُونَ
স্মরণ কর, ইবরাহীম (আ.) যখন তার পিতাকে ও তার জাতিকে বলেছিল- তোমরা যেগুলোর পূজা কর, সেগুলো থেকে আমি সম্পর্কহীন।
إِلَّا ٱلَّذِى فَطَرَنِى فَإِنَّهُۥ سَيَهْدِينِ
আমার সম্পর্ক আছে শুধু তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আমাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
وَجَعَلَهَا كَلِمَةًۢ بَاقِيَةً فِى عَقِبِهِۦ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
এ কথাটিকে সে স্থায়ী বাণীরূপে তার পরবর্তীদের মধ্যে রেখে গেছে, যাতে তারা (আল্লাহর পথে) ফিরে আসে।
بَلْ مَتَّعْتُ هَـٰٓؤُلَآءِ وَءَابَآءَهُمْ حَتَّىٰ جَآءَهُمُ ٱلْحَقُّ وَرَسُولٌ مُّبِينٌ
হ্যাঁ, আমিই তাদেরকে আর তাদের পূর্বপুরুষকে ভোগের সামগ্রী দিয়েছিলাম। অবশেষে তাদের কাছে আসলো সত্য এবং সবকিছু স্পষ্টকারী রসূল।
وَلَمَّا جَآءَهُمُ ٱلْحَقُّ قَالُوا۟ هَـٰذَا سِحْرٌ وَإِنَّا بِهِۦ كَـٰفِرُونَ
সত্য যখন তাদের কাছে আসল তখন তারা বলল- এটা যাদু, আমরা এটা মানি না।
وَقَالُوا۟ لَوْلَا نُزِّلَ هَـٰذَا ٱلْقُرْءَانُ عَلَىٰ رَجُلٍ مِّنَ ٱلْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ
তারা বলল- এ কুরআন (মক্কা ও তায়েফ এ) দু’ জনপদের কোন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপর কেন অবতীর্ণ হল না?
أَهُمْ يَقْسِمُونَ رَحْمَتَ رَبِّكَ ۚ نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُم مَّعِيشَتَهُمْ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۚ وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَـٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُم بَعْضًا سُخْرِيًّا ۗ وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
তোমার প্রতিপালকের রহমত কি তারা বণ্টন করে (যে তাদের মর্জিমত কুরআন নাযিল করতে হবে)? তাদের মাঝে তাদের জীবিকা আমিই বণ্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং মর্যাদায় এককে অন্যের উপর উন্নত করি যাতে একে অপরের সহায়তা গ্রহণ করতে পারে। তারা যা সঞ্চয় করে, তোমার প্রতিপালকের রহমত তাত্থেকে উত্তম
وَلَوْلَآ أَن يَكُونَ ٱلنَّاسُ أُمَّةً وَٰحِدَةً لَّجَعَلْنَا لِمَن يَكْفُرُ بِٱلرَّحْمَـٰنِ لِبُيُوتِهِمْ سُقُفًا مِّن فِضَّةٍ وَمَعَارِجَ عَلَيْهَا يَظْهَرُونَ
(সত্যকে অস্বীকার ক’রে) সব এক জাতিতে পরিণত হবে এ আশঙ্কা না থাকলে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে তাদেরকে অবশ্যই দিতাম তাদের গৃহের জন্য রৌপ্য নির্মিত ছাদ আর সিঁড়ি যাতে তারা আরোহণ করত।
وَلِبُيُوتِهِمْ أَبْوَٰبًا وَسُرُرًا عَلَيْهَا يَتَّكِـُٔونَ
আর তাদের গৃহের জন্য দিতাম দরজা ও পালঙ্ক যাতে তারা হেলান দিয়ে বসত।
وَزُخْرُفًا ۚ وَإِن كُلُّ ذَٰلِكَ لَمَّا مَتَـٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۚ وَٱلْـَٔاخِرَةُ عِندَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِينَ
আর স্বর্ণ নির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আখিরাত তোমার প্রতিপালকের কাছে তাদেরই জন্য যারা (আল্লাহকে) ভয় করে।
وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ ٱلرَّحْمَـٰنِ نُقَيِّضْ لَهُۥ شَيْطَـٰنًا فَهُوَ لَهُۥ قَرِينٌ
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য শয়ত্বানকে নিয়োজিত করি, অতঃপর সে হয় তার ঘনিষ্ঠ সহচর।
وَإِنَّهُمْ لَيَصُدُّونَهُمْ عَنِ ٱلسَّبِيلِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُم مُّهْتَدُونَ
তারাই মানুষকে সৎপথে চলতে অবশ্যই বাধা দেয়, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সঠিক পথে রয়েছে।
حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَنَا قَالَ يَـٰلَيْتَ بَيْنِى وَبَيْنَكَ بُعْدَ ٱلْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ ٱلْقَرِينُ
অবশেষে সে যখন আমার কাছে আসবে, তখন শয়ত্বানকে বলবে, হায়! আমার ও তোমার মাঝে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!
وَلَن يَنفَعَكُمُ ٱلْيَوْمَ إِذ ظَّلَمْتُمْ أَنَّكُمْ فِى ٱلْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ
তোমাদের হা-হুতাশ আজ তোমাদের কোন কাজে আসবে না যেহেতু তোমরা সীমালঙ্ঘন করেছিলে। তোমরা হবে শাস্তির অংশীদার।
أَفَأَنتَ تُسْمِعُ ٱلصُّمَّ أَوْ تَهْدِى ٱلْعُمْىَ وَمَن كَانَ فِى ضَلَـٰلٍ مُّبِينٍ
তুমি কি বধিরকে শুনাতে পারবে অথবা যে অন্ধ আর যে আছে সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টের মধ্যে তাকে সৎপথ দেখাতে পারবে?
فَإِمَّا نَذْهَبَنَّ بِكَ فَإِنَّا مِنْهُم مُّنتَقِمُونَ
আমি যদি তোমাকে (দুনিয়া থেকে) নিয়েও যাই, তবু আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।
أَوْ نُرِيَنَّكَ ٱلَّذِى وَعَدْنَـٰهُمْ فَإِنَّا عَلَيْهِم مُّقْتَدِرُونَ
অথবা আমি তাদেরকে যে ‘আযাবের ও‘য়াদা দিয়েছি তা যদি তোমাকে দেখিয়ে দেই (আমার পক্ষে সবই সম্ভব), কারণ তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা আছে।
فَٱسْتَمْسِكْ بِٱلَّذِىٓ أُوحِىَ إِلَيْكَ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ
কাজেই তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয় তুমি তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর, কেননা তুমি তো আছ সরল সঠিক পথে।
وَإِنَّهُۥ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ ۖ وَسَوْفَ تُسْـَٔلُونَ
কুরআন হল অবশ্যই তোমার জন্য আর তোমার জাতির জন্য উপদেশ বাণী। আর এ সম্পর্কে অচিরেই তোমাদেরকে জওয়াবদিহি করতে হবে।
وَسْـَٔلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رُّسُلِنَآ أَجَعَلْنَا مِن دُونِ ٱلرَّحْمَـٰنِ ءَالِهَةً يُعْبَدُونَ
আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস কর (অর্থাৎ তাদের কিতাব দেখ ও তাদের সত্যিকার অনুসারীদের নিকট যাচাই কর) আমি কি দয়াময় আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ স্থির করেছিলাম যাদের ‘ইবাদাত করতে হবে?
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِـَٔايَـٰتِنَآ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ وَمَلَإِي۟هِۦ فَقَالَ إِنِّى رَسُولُ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ
আমি মূসাকে আমার নিদর্শনসহ ফেরাউন ও তার প্রধানদের নিকট পাঠিয়েছিলাম। মূসা (আ.) বলেছিল- আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালকের রসূল।
فَلَمَّا جَآءَهُم بِـَٔايَـٰتِنَآ إِذَا هُم مِّنْهَا يَضْحَكُونَ
যখন সে আমার আয়াতসমূহ নিয়ে তাদের কাছে আসলো, তখন তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল।
وَمَا نُرِيهِم مِّنْ ءَايَةٍ إِلَّا هِىَ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا ۖ وَأَخَذْنَـٰهُم بِٱلْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাতাম তা হত পূর্ববর্তী নিদর্শন থেকে বড়। আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম যাতে তারা (আমার পথে) ফিরে আসে।
وَقَالُوا۟ يَـٰٓأَيُّهَ ٱلسَّاحِرُ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِندَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ
(শাস্তিতে আক্রান্ত হয়ে) তারা বলেছিল- ওহে যাদুকর! তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালকের কাছে তা চাও যার ও‘য়াদা তিনি তোমার কাছে করেছেন। আমরা অবশ্যই সৎপথে চলব।
فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ ٱلْعَذَابَ إِذَا هُمْ يَنكُثُونَ
কিন্তু যখনই আমি তাদের থেকে শাস্তি সরিয়ে দিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বসল।
وَنَادَىٰ فِرْعَوْنُ فِى قَوْمِهِۦ قَالَ يَـٰقَوْمِ أَلَيْسَ لِى مُلْكُ مِصْرَ وَهَـٰذِهِ ٱلْأَنْهَـٰرُ تَجْرِى مِن تَحْتِىٓ ۖ أَفَلَا تُبْصِرُونَ
ফেরাউন তার সম্প্রদায়ের মাঝে ঘোষণা দিল। বলল- হে আমার সম্প্রদায়! মিসরের রাজত্ব কি আমার নয়? আর এ সব নদনদী আমার নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, তোমরা কি তা দেখ না?
أَمْ أَنَا۠ خَيْرٌ مِّنْ هَـٰذَا ٱلَّذِى هُوَ مَهِينٌ وَلَا يَكَادُ يُبِينُ
আমি কি এ লোক থেকে শ্রেষ্ঠ নই যে নীচ, যে নিজের কথাটিও স্পষ্ট করে বলতে অক্ষম!
فَلَوْلَآ أُلْقِىَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِّن ذَهَبٍ أَوْ جَآءَ مَعَهُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ مُقْتَرِنِينَ
(সে যদি আল্লাহর রসূলই হয়ে থাকে) তাহলে তাঁকে কেন স্বর্ণ কঙ্কন দেয়া হল না? অথবা সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতারা কেন তার সাথে আসল না?
فَٱسْتَخَفَّ قَوْمَهُۥ فَأَطَاعُوهُ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ قَوْمًا فَـٰسِقِينَ
এভাবে সে তার জাতির লোকেদের বোকা বানিয়ে দিল। ফলে তারা তার কথা মেনে নিল। তারা ছিল এক পাপাচারী সম্প্রদায়।
فَلَمَّآ ءَاسَفُونَا ٱنتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَـٰهُمْ أَجْمَعِينَ
তারা যখন আমাকে রাগান্বিত করল, তখন আমি তাদের উপর প্রতিশোধ নিলাম, অতঃপর সব্বাইকে ডুবিয়ে মারলাম।
فَجَعَلْنَـٰهُمْ سَلَفًا وَمَثَلًا لِّلْـَٔاخِرِينَ
এভাবে আমি তাদেরকে করলাম অতীতের মানুষ আর পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত।
۞ وَلَمَّا ضُرِبَ ٱبْنُ مَرْيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ يَصِدُّونَ
যখন মারইয়াম-পুত্র ‘ঈসার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়, তখন তোমার জাতির লোকেরা হট্টগোল শুরু করে দেয়,
وَقَالُوٓا۟ ءَأَـٰلِهَتُنَا خَيْرٌ أَمْ هُوَ ۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلًۢا ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ
এবং বলে আমাদের উপাস্যরা উত্তম না ‘ঈসা? (কারণ খৃস্টানরা ‘ঈসাকে উপাস্য বানিয়েছে আর আমরা মক্কাবাসীরা উপাস্য বানিয়েছি অন্যদেরকে)। তারা শুধু বিতর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তোমার সামনে এ দৃষ্টান্ত পেশ করে। আসলে তারা হল এক ঝগড়াটে জাতি।
إِنْ هُوَ إِلَّا عَبْدٌ أَنْعَمْنَا عَلَيْهِ وَجَعَلْنَـٰهُ مَثَلًا لِّبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ
মারইয়াম-পুত্র তো শুধু একজন বান্দাহ যার প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলাম আর বানী ইসরাঈলের জন্য আমি তাকে করেছিলাম (আমার কুদরাতের বিশেষ এক) নমুনা।
وَلَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَا مِنكُم مَّلَـٰٓئِكَةً فِى ٱلْأَرْضِ يَخْلُفُونَ
আমি ইচ্ছে করলে তোমাদের মধ্য হতে ফেরেশতা পয়দা করতে পারি যারা পর পর উত্তরাধিকারী হবে।
وَإِنَّهُۥ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَٱتَّبِعُونِ ۚ هَـٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ
‘ঈসা (’র দুনিয়াতে পুনরায় আগমন) ক্বিয়ামতের একটি নিশ্চিত নিদর্শন। অতএব তোমরা ক্বিয়ামতে সন্দেহ পোষণ করো না আর আমার অনুসরণ কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ ٱلشَّيْطَـٰنُ ۖ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
শয়ত্বান তোমাদেরকে (সৎ পথে চলতে) কিছুতেই যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে তোমাদের খোলাখুলি দুশমন।
وَلَمَّا جَآءَ عِيسَىٰ بِٱلْبَيِّنَـٰتِ قَالَ قَدْ جِئْتُكُم بِٱلْحِكْمَةِ وَلِأُبَيِّنَ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى تَخْتَلِفُونَ فِيهِ ۖ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ
‘ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল তখন সে বলেছিল- আমি তোমাদের কাছে হিকমত নিয়ে এসেছি আর এসেছি কতকগুলো বিষয় স্পষ্ট করার জন্য যাতে তোমরা মতভেদ করছ। কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর আমার কথা মান্য কর।
إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ ۚ هَـٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ
আল্লাহ তিনি তো আমারও রব্ব আর তোমাদেরও রব্ব, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সঠিক পথ।
فَٱخْتَلَفَ ٱلْأَحْزَابُ مِنۢ بَيْنِهِمْ ۖ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْ عَذَابِ يَوْمٍ أَلِيمٍ
অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য করল। কাজেই যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক দিনের ‘আযাবের দুর্ভোগ।
هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا ٱلسَّاعَةَ أَن تَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
তারা কি তাদের উপর ক্বিয়ামত অকস্মাৎ এসে পড়ার অপেক্ষা করছে যা তারা টেরও পাবে না।
ٱلْأَخِلَّآءُ يَوْمَئِذٍۭ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا ٱلْمُتَّقِينَ
বন্ধুরা সেদিন হয়ে যাবে একজন আরেকজনের দুশমন, তবে মুত্তাকীরা ছাড়া।
يَـٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ
(মুত্তাকীদেরকে বলা হবে) হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই আর তোমরা দুঃখিতও হবে না-
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا وَكَانُوا۟ مُسْلِمِينَ
তোমরা যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করেছিলে এবং অনুগত ছিলে।
ٱدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ أَنتُمْ وَأَزْوَٰجُكُمْ تُحْبَرُونَ
সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর তোমরা আর তোমাদের স্ত্রীরা।
يُطَافُ عَلَيْهِم بِصِحَافٍ مِّن ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ ۖ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ ٱلْأَنفُسُ وَتَلَذُّ ٱلْأَعْيُنُ ۖ وَأَنتُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ
তাদের কাছে চক্রাকারে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পান পাত্র। সেখানে তা-ই আছে মন যা চাইবে, আর চোখ যাতে তৃপ্ত হবে। তোমরা তাতে চিরকাল থাকবে।
وَتِلْكَ ٱلْجَنَّةُ ٱلَّتِىٓ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
এই হল জান্নাত তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করা হয়েছে, কারণ তোমরা (সৎ) ‘আমাল করেছিলে।
لَكُمْ فِيهَا فَـٰكِهَةٌ كَثِيرَةٌ مِّنْهَا تَأْكُلُونَ
তোমাদের জন্য সেখানে আছে প্রচুর ফল যাত্থেকে তোমরা খাবে।
إِنَّ ٱلْمُجْرِمِينَ فِى عَذَابِ جَهَنَّمَ خَـٰلِدُونَ
(আর অন্যদিকে) অপরাধীরা জাহান্নামের ‘আযাবে চিরকাল থাকবে।
لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ
তাদের শাস্তি কমানো হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
وَمَا ظَلَمْنَـٰهُمْ وَلَـٰكِن كَانُوا۟ هُمُ ٱلظَّـٰلِمِينَ
আমি তাদের উপর যুলম করিনি, বরং তারা নিজেরাই যালিম ছিল।
وَنَادَوْا۟ يَـٰمَـٰلِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ۖ قَالَ إِنَّكُم مَّـٰكِثُونَ
তারা চীৎকার ক’রে বলবে- হে ‘মালেক (জাহান্নামের দাড়োয়ান)! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের দফারফা ক’রে দেন। সে জওয়াব দিবে- ‘তোমরা (এ অবস্থাতেই পড়ে) থাকবে’।
لَقَدْ جِئْنَـٰكُم بِٱلْحَقِّ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَـٰرِهُونَ
আমি তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্যকে অপছন্দকারী।
أَمْ أَبْرَمُوٓا۟ أَمْرًا فَإِنَّا مُبْرِمُونَ
তারা কি (নিজেদের মধ্যে সলা-পরামর্শ করে কোন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো আমিই নিয়ে থাকি (যাবতীয় ব্যাপারে আল্লাহ যা চান তাই শেষে ঘটে)।
أَمْ يَحْسَبُونَ أَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَىٰهُم ۚ بَلَىٰ وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُونَ
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন কথা, গোপন পরামর্শ শুনি না? নিশ্চয়ই শুনি, আর আমার ফেরেশতারাহ তাদের কাছে থেকে লিখে নেয়।
قُلْ إِن كَانَ لِلرَّحْمَـٰنِ وَلَدٌ فَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلْعَـٰبِدِينَ
বল- দয়াময়ের কোন সন্তান থাকলে আমিই তার সর্বপ্রথম ‘ইবাদাতকারী হতাম।
سُبْحَـٰنَ رَبِّ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ رَبِّ ٱلْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ
তারা যা (তাঁর প্রতি) আরোপ করে তা হতে আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক ‘আরশের পালনকর্তা মহান, পবিত্র।
فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا۟ وَيَلْعَبُوا۟ حَتَّىٰ يُلَـٰقُوا۟ يَوْمَهُمُ ٱلَّذِى يُوعَدُونَ
কাজেই তাদেরকে বাক-চতুরতা ও ক্রীড়া-কৌতুক করতে দাও সে দিনের সাক্ষাৎ পর্যন্ত যে দিনের ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
وَهُوَ ٱلَّذِى فِى ٱلسَّمَآءِ إِلَـٰهٌ وَفِى ٱلْأَرْضِ إِلَـٰهٌ ۚ وَهُوَ ٱلْحَكِيمُ ٱلْعَلِيمُ
আকাশমন্ডলে তিনিই ইলাহ, যমীনে তিনিই ইলাহ, তিনি মহাবিজ্ঞ, সর্বজ্ঞ।
وَتَبَارَكَ ٱلَّذِى لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَعِندَهُۥ عِلْمُ ٱلسَّاعَةِ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
অতি মহান ও পবিত্র তিনি, আকাশ, পৃথিবী ও এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তার একচ্ছত্র কর্তৃত্ব যাঁর হাতে, ক্বিয়ামতের জ্ঞান তাঁর কাছেই আছে (যে তা কখন ঘটবে), আর তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।
وَلَا يَمْلِكُ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ ٱلشَّفَـٰعَةَ إِلَّا مَن شَهِدَ بِٱلْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে তারা ডাকে তারা সুপারিশের অধিকারী নয়, তবে যে জ্ঞানের ভিত্তিতে সত্যের সাক্ষ্য দেয় সে ছাড়া।
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَهُمْ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُ ۖ فَأَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে, তাহলে তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। অত:পর তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে?
وَقِيلِهِۦ يَـٰرَبِّ إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ قَوْمٌ لَّا يُؤْمِنُونَ
রসূলের এ উক্তির শপথঃ ‘হে আমার প্রতিপালক! এ জাতির লোকেরা ঈমান আনবে না।’
فَٱصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلَـٰمٌ ۚ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
কাজেই তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও আর বল- (তোমাদের প্রতি) সালাম। শীঘ্রই তারা জানতে পারবে (তাদের আচরণের পরিণতি কী)।